বিশেষ সংবাদদাতা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাকে কাজ করতে হবে। এ উদ্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সব সময় মনে রাখতে হবে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এ স্বাধীনতা। কাজেই এ স্বাধীনতার চেতনাকে সব সময় সম্মুন্নত রাখতে হবে। এ আদর্শ নিয়েই নিজেদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু’র ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার ও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণে বাঁধা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পরিকল্পনার অন্যতম কারণ ছিল একাত্তর সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অন্যতম কারণ ছিল বাংলাদেশকে একটি বিপন্ন জনপদ হিসেবে রাখা যাতে বাংলাদেশ বিশে^র বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের মাধ্যমে এদেশকে আবার কলংকমুক্ত করেছিলেন ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরি ও তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সভাকক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম এমপি ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে এ সব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে হত্যার সব কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তার নেতৃত্বে বিদেশী মিশনে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের চাকরি দেয়া হয়েছিল, খুনিদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এরশাদ খুনিদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। খালেদা জিয়া তাদের সংসদে নিয়ে এসেছে। এভাবে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের লালন করেছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আহবায়ক ও ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই শোক সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক গৌতম রায় চৌধুরী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নজরুল ইসলাম বাবুল, কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মিজানুর রহমান লিটন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সভাপতি মো. রেজাউল করিম সিকদার মন্টু, সম্পাদক সাইফুল রহমান, মোসলেম কাজি, বদরুল হায়দার বেপারী ও ফারুক হাওলাদার সহ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিটের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।