বিশেষ সংবাদদাতা
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে হাত-মুখ বাঁধা
আবস্থায় কোমেলা বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বৈবুনিয়া
গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই জাহিদুল শেখ জানান, শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে খবর পেয়ে ওই
বাড়িতে গিয়ে তাকে মৃত্যু অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত ওই গৃহবধু উপজেলার
শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের মৃত ছলেমান শেখের কন্যা। তার স্বামী সৌদি আরব
প্রবাসী ওমর ফারুকের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি ওই এলাকায় জমি কিনে সেখানে
বাড়ি করে একা থাকতেন। তাকে হত্যার পর ঘাতকরা তার মুঠোফোন সহ গলায় ও
কানে থাকা স্বর্নালংকার নিয়ে গেছে। এর আগে তার দ’ুটি বিয়ে ছিলো।
স্থায়ীয় প্রতিবেশী মুন্নি বেগম জানান, ওই নারীর সাথে আমার পারিবারিক
একটি সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে আমাদের বাড়িতে তৈরী
করা ভালো খাবার খেতে আমার কন্যা নাঈমা (০৮) ও ছেলে শাদিদ (০৩) কে
তাকে ডাকতে পাঠাই। তারা ঘরে গিয়ে তাকে মৃত্যু অবস্থায় দেখে আমাকে ডাক
দেয়। আমি পাশর্^বর্তী হাসিনা বেগমকে নিয়ে ওই ঘরে গিয়ে তাকে হাত-মুখ ও চোখ
বাঁধা অবস্থায় খাটের উপর মৃত্যু অবস্থায় দেখি।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ওই
গৃহবধুর মরদেহ তার নিজ বসত ঘর থেকে হাত-মুখ ও চোখ বাঁধা অবস্থায়
উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে ধারনা করা
হচ্ছে গত দুই-তিন দিন আগে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।