নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

ছেলে ও নাতীদের মৃত্যু না দেখে নিজের মৃত্যু হওয়া টাই ভালো ছিলো। আল্লাহ কি আমাকে দেখেনাই? আমি এ পৃথিবীতে আর বাঁচতে চাইনা। আল্লাহ তুমি আমাকে নিয়ে যাও। এমন আর্তনাদ করে কাঁদছিলেন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভোরে পিরোজপুর-নাজিরপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নুরানী গেইট এলাকায় প্রাইভেটকার খালে পড়ে নিহত শাওন মৃধা (৩২) এর মায়ের। এ সময় শাওন ও তার স্ত্রী পুত্রসহ দুই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরেজমিনে নুরানী গেইট এলাকায় গেলে সেখানের বাসিন্দা রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে হঠাৎ একটি বিকট শব্দ ও চিৎকার শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে টর্চ লাইট মেরে আলোতে দেখি বাড়ির সামনের খালেপড়ে আছে একটি প্রাইভেটকার। পওে বিষয়টি স্থানীয় ইউপিসদস্য ও চৌকিদারকে জানাই। তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। সেখান থেকে ৪ শিশু ও ২ নারীসহ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মো. নিজামুল হক জানান, তাদের মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
নিহত শাওন উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের হোগলাবুনিয়া গ্রামেরমৃত আছাদ মৃধার ছেলে। এ সময় তার স্ত্রী আমেনা বেগম (২৫), ছেলে সাহাদাৎ হোসেন (১০), ও আব্দুল্লাহ (০৩) একই পরিবারের এ ৪ জন নিহত হয়। এ ছাড়া ওই গাড়িতে থাকা শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের নাজিমউদ্দিনের ছেলে মোতালেব হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার (৩০), মেয়ে মুক্তা (১২) ও ছেলে সোয়াইব (০২) এরমৃত্যু হয়। নিহত শাওন ও মোতালেব সম্পর্কে বন্ধ ুছিলেন। নিহত মোতালেব হোসেন সেনাবাহিনীর সিভিল স্টাফ ছিলেন বলে জানা গছে। তারা সমুদ্র সৈকত দেখতে গত ৩ দিন আগে কুয়াকাটায় গিয়েছিলেন। জেলা বিএনপির আহŸায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, নিহতদের পরিবারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়েছে, পরবর্তীতে ও সাধ্যমত আরো আর্থিক সহযোগীতা দেয়া হবে।
উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজল বলেন, স্থানীয় ভাইজোড়া গ্রামের মেঝো মামা কামরুল ফকিরের বাড়িতেই বড় হয়েছেন নিহত শাওন মৃধা। সে ঢাকার ভাসানটেক এলাকায় খাবারের ব্যবসা করতো।