বিশেষ সংবাদদাতা

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে নিঁখোজের ৪ মাস পর লামিয়া আক্তার (১৮) নামের এক কিশোরীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে থানা পুলিশ ও ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন টিম একটি চিরকুটের ভিত্তিতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতকাছিমা গ্রামের একটি বাড়ির বালুর ভীতর থেকে ওই কিশোরীর হাড় উদ্ধার করা হয়।
নিহতের খালা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, গত ৬ নভেম্বর তার বোনের মেয়ে লামিয়া আক্তার নিখোঁজ হয়। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিথলিয়া গ্রামের দিনমজুর মো. নজরুল ইসলামের কন্যা। নিঁেখাজ ওই কিশোরী একই এলাকার মিজান খানের ছেলে তারিকুল ইসলামের এর সাথে গত প্রায় ৮ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। এর আগে প্রায় ৮ বছর ধরে যখন ওই লামিয়া ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তখন থেকে প্রেম চলে। কিন্তু পরিবার ওই বিয়েতে রাজী না হওয়ায় ওই দম্পত্তির মধ্যে প্রায়ই কলোহ লেগে থাকতো। গত ৫ মাস আগে ওই কিশোরী নিঁখোজ হয়।
কিন্তু গত রবিবার (১২ মার্চ) রাতে তাদের বাড়ির ঘরের টিনের উপর হঠাৎ করে কয়েকটি ইট নিক্ষেপের আওয়াজ পান তারা। পরে তারা ঘর থেকে বের হয়ে টর্চ লাইটের মাধ্যমে দেখেন তাদের জামাতা তারিকুল বাড়ির সামনের খালের অপর পাড়ের রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে আছে। আর ঘরের সামনের সিড়ির উপর একটি চিঠি পাওয়া যায়। ওই চিঠিতে লেখা ‘তোমার মাইয়ার লাশ মোজাহার মোল্লার বাড়ি পশ্চিম পাশে বালুর মাঠে। ইতি-মুমিন। সব জানে মেঝো খালা’। বিষয়টি ওই রাতে আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ওই রাতেই ঘটনা স্থল বালুর মাঠে আসেন। সেখানে তারা রাতভর পাহাড়া দিয়ে দুপুরে সেখানে খনন করেন।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নিঁেখাজের অভিযোগ করে গত ২৫ ডিসেম্বর একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তখন দুই জনকে আটক করেন। তবে তারা জামিনে রয়েছেন। গত রবিবার রাতে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়ার তথ্য জানান। আমরা ওই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চলিয়ে ওই বালুর মাঠ খুঁড়ে সেখানে কিছু কঙ্কাল পাওয়া গেছে। ওই কঙ্কালটি নিঁখোজ কিশোরীর হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তার ডিএনএ টেষ্ট করার পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।