বিশেষ সংবাদদাতা রেজাউল করিম লিটন:
কোন নতুন আহবায়ক কমিটি নয় তৃনমুলের নেতারা চাচ্ছেন সম্মেলনে মাধ্যেম নতুন কমিটি গঠন করতে। জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৩ সালে ঢাকায় হাওয়া ভবনে বসে পিরোজপুর জেলা বিএনপি কাউন্সিল অনুষ্টিত হয়। এতে সাবেক হুইপ শহিদুল হক জামাল কে সভাপতি ও অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এর পরে একাধিকবার কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়। তাই তৃনমুল নেতারা সম্মেলনের মাধ্যেম নতুন কমিটি গঠনের জোর দাবি জানান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২২ সালের এপ্রিল মাসে অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেনকে আহবায়ক ও গাজী ওহিদুজ্জামান লাভলু কে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটি দিয়ে চলছিলো পিরোজপুর জেলা বিএনপি। ২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পরে কেন্দ্রীয় বন পরিবেশ বিষয়ক সহ সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু কে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃনমুল থেকে সম্মেলনের মাধ্যেমে কমিটি গঠন করার। কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু দায়িত্বে পাবার পরে জেলার ১১ টি ইউনিটের মধ্যে ৮ টি ইউনিটের সম্মেলনে সম্পন্ন করেন। নাজিরপুর ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় ওয়ার্ড কমিটি সম্পন্ন করে ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন।
দলীয় সুত্র আরোও জানায়, ২ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর জেলা বিএনপি আওতাধীন সদর উপজেলা বিএনপি ভোট গননার সময় হট্রগোল ও মারামারি হয়। আর তারই জের ধরে গত (০৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলিয় প্যাডে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ করা হয়। হতাশ হয়ে পড়েছে জেলার তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। তাদের চাওয়া দীর্ঘ ২২ বছর পরে জাঁকজমকপূর্ণ একটি সম্মেলন। এবিষয়ে জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের উপজেলা কমিটি হয়েছে। তাই আমি চাই এই ধারা অব্যহত থাকুক। জেলায় আর কোনো নতুন কমিটি চাই না। গনতান্ত্রিক পন্থায় ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন চাই।
পিরোজপুর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. সরোয়ার হোসেন হাওলাদার জানান, আমরা যেমন কাউন্সিলদের ভোটের মাধ্যমে সম্মেলন করে কমিটি পেয়েছি। তেমনি জেলা বিএনপির আর কোনো নতুন কমিটি চাই না সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি দাবী করছি। নাজিরপুর ও মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি একাধিক নেতারা জানান, কাউন্সিলের মাধ্যমে তাদের ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে, ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এমন সময় জেলা বিএনপি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিট কমিটি গঠন করে জেলা সম্মেলন চলিত মাসের দিকে হবার কথা।
জেলা বিএনপি একাধিক নেতারা দাবি করেন জেলা বিএনপি সম্মেলন চুড়ান্ত পর্যায়ে। এই মুহুর্তে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন না করে কেন্দ্র থেকে অতিরিক্ত কাউকে দায়িত্ব দিয়ে জেলা সম্মেলনে সম্পন্ন করার। কেননা স্থানী যাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় তিনি তার পকেটের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করার চেষ্টা করেন। ফলে গত ১৭ বছর ধরে যারা রাজপথে ছিল তারা অধিকাংশ সময় এই নেতৃত্ব বাদ পড়ে যায়।